বাক্যাংশ বই

ভাষার উন্নয়ন

ar AR de DE em EM en EN es ES fr FR it IT ja JA pt PT px PX zh ZH af AF be BE bg BG bn BN bs BS ca CA cs CS el EL eo EO et ET fa FA fi FI he HE hr HR hu HU id ID ka KA kk KK kn KN ko KO lt LT lv LV mr MR nl NL nn NN pa PA pl PL ro RO ru RU sk SK sq SQ sr SR sv SV tr TR uk UK vi VI

ভাষার উন্নয়ন

কেন আমরা একে অন্যের সাথে কথা বলি তা এখন পরিষ্কার। আমরা আমাদের ভাবনা বিনিময় করতে চাই এবং অন্যকে বুঝতে চাই। কিন্তু তা কতটা ভাষাভিত্তিক তা খুব একটা পরিষ্কার নয়। এই বিষয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে। এটা নিশ্চিৎ যে, ভাষা একটি অনেক পুরানো ব্যাপার। নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক বিষয় কথা বলার পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করে। এগুলো শব্দ তৈরী করতে আমাদের সাহায্য করে। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া মানব প্রজাতি নিয়ানদারথালদেরও কন্ঠস্বর ব্যবহারের ক্ষমতা ছিল। কন্ঠস্বর ব্যবহার করে তারা নিজেদেরকে পশুদের থেকে আলাদা করত। উচ্চ ও দৃঢ় শব্দ প্রতিরক্ষার জন্য খুবই প্রয়োজন। মানুষ এটি ব্যবহার করে শত্রুকে ভয় দেখাতে। এর আগেই কিন্তু বিভিন্ন অস্ত্র তৈরী হয়েছে এবং আগুন জালানো শিখেছে মানুষ । এই জ্ঞান যেভাবেই হোক ছড়ানোর দরকার ছিল। দলগতভাবে শিকারের জন্য কথা বলা খুবই জরুরী ছিল। ২০ লক্ষ বছর আগে মানুষের মধ্যে খুব সাধারণ বোঝাপড়া ছিল। প্রাথমিক ভাষাগত উপাদান ছিল চিহ্নের ব্যবহার ও অঙ্গভঙ্গি করা। কিন্তু মানুষ চাইত অন্ধকারেও যোগাযোগ করতে। এমনকি, তারা চাইত কারও দিকে না তাকিয়েও যোগাযোগ করতে। ফলে শব্দের উদ্ভব হয় এবং তা অঙ্গভঙ্গির স্থান দখল করে। বর্তমানের মত ভাষা বোধের উৎপত্তি প্রায় ৫০,০০০ বছর আগের। যখন মানব সম্প্রদায় আফ্রিকা ত্যাগ করে, সারা পৃথিবীতে তারা ভাষা ছড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানের ভাষা একে অন্যেও থেকে পৃথক হয়ে যায়। এভাবেই বিভিন্ন্ ভাষা পরিবারের সৃষ্টি হয়। ভাষা ব্যবহারের মোৗলিক পদ্ধতিটি শুধু অবিকৃত রয়ে গেছে। প্রথম দিকের ভাষাগুলো বর্তমানের ভাষাগুলো থেকে অপেক্ষাকৃত কম জটিল ছিল। পরবর্তীতে ব্যকরণ, ধ্বনিতত্ত্ব ও শব্দতত্ত্ব এসে ভাষাকে উন্নত করেছে। এটা বলা যেতে পারে যে, বিভিন্ন্ ভাষার সমাধান বিভিন্ন রকম হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন সবসময় একইঃ আমি যা ভাবছি তা কিভাবে প্রকাশ করব?