বাক্যাংশ বই

ভাষা ও উপভাষা

ar AR de DE em EM en EN es ES fr FR it IT ja JA pt PT px PX zh ZH af AF be BE bg BG bn BN bs BS ca CA cs CS el EL eo EO et ET fa FA fi FI he HE hr HR hu HU id ID ka KA kk KK kn KN ko KO lt LT lv LV mr MR nl NL nn NN pa PA pl PL ro RO ru RU sk SK sq SQ sr SR sv SV tr TR uk UK vi VI

ভাষা ও উপভাষা

সারা পৃথিবীতে ৬,০০০ থেকে ৭,০০০ ভাষা রয়েছে। তাই, নিঃসন্দেহে উপভাষার সংখ্যা অনেক। কিন্তু আপনি কি জানেন, ভাষা ও উপভাষার মধ্যে পার্থক্য কি? উপভাষায় সবসময় স্থানীয় টান থাকে। আঞ্চলিক ভিন্নতার সাথে মানানসই হয়। অর্থ্যাৎ, উপভাষা হল ভাষার সংকীর্ণ রূপ। সাধারণত উপভাষার কথ্য হয়, লেখা হয়না। উপভাষার নিজস্ব ভাষাগত পদ্ধতি থাকে। নিজস্ব নিয়মও থাকে। সঙ্গতকারণেই, প্রত্যেক ভাষার বিভিন্ন উপভাষা থাকে। কিন্তু উপভাষা কখনও একটি দেশের মূল ভাষার উপরে যেতে পারেনা। একটি দেশের সবাই মূল ভাষা জানেন। মূল ভাষার মাধ্যমেই বিভিন্ন উপভাষায় কথা বলা লোকেরা একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে। তাই উপভাষা অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। শহরগুলোয় আপনি উপভাষায় কথা বলতে খুব কম দেখবেন। কর্মক্ষেত্রেও মূল ভাষা ব্যবহার করা হয়। কেননা, উপভাষীদের প্রায়শই বলা হয় সাধারণ ও অশিক্ষিত। যদিও সমস্ত সামাজিক ক্ষেত্রে উপভাষীদের উপস্থিতি রয়েছে। তাই, উপভাষীরা অন্যান্যদের তুলনায় কম বোধশক্তিসম্পন্ন। প্রায় বোধশক্তিহীন ও বলা যায়। তারপরও উপভাষীদের অনেক সুবিধা রয়েছে। একটি ভাষার গতিপথে, উদহারণস্বরূপ। উপভাষীরা জানেন যে, অনেক ভাষাগত ধরণ রয়েছে। এবং তারা শিখেছেন কিভাবে দ্রুত ভাষার ধরণ পরিবর্তন করতে হয়। উপভাষীরা পরিবর্তন ও রূপান্তরে অনেক দক্ষ হন। নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ভাষার কোন ধরণ যথাযথ তা উপভাষীরা ভালভাবে বুঝেন। বৈজ্ঞানিকভাবেও এটা প্রমানিত। তাই, উপভাষা ব্যবহারে সাহসী হন, এটা গুরুত্বপূর্ণ।